কবিতায় মানুষের মনের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ।। বৃষ্টি মিনা

 
কবিতায় মানুষের মনের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে
বৃষ্টি মিনা

আমি কাব্য রস দিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি, কবিতা, কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস- যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রূপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত সৃষ্টির উদাহরণ।

আমার মতে কবিতা পাঠের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সাহিত্যেও প্রতি ভালোবাসা এবং আগ্রহ বাড়ে। এছাড়া কবিতা পাঠককে সঠিক জায়গায় সঠিক শব্দ প্রয়োগ শেখায়। পাঠকের ভেতর এক ধরনের সাহিত্যিক মনোভাব তৈরি করে।

আমার মনে হয় আমার প্রতিটা লেখায় এক একটা সন্তান, আমার আবেগ যুক্ত প্রেমময় ভাবনায় তৈরি হয় প্রতিটি লেখা, চোখের সামনে যা দেখা যায় বা যা খালি চোখে দেখা যায় না দুটো নিয়েই অনুভবের অনুভূতির প্রকাশ করি লেখার মাধ্যমে, নিজেকে তুলে ধরতে আমি লিখতে ভালোবাসি, নিজের লেখার মাঝে শুধুু নিজেকেই নয় খুঁজে পাই প্রতিটি জিনিসের মমতা, স্পর্শ খুঁজে পাই নিখুত ভালোবাসা প্রেমময় আশ্রয়, লেখালেখি একটা মানসিক প্রশান্তির নাম, আমি কবিতা লেখি শুধু নিজের জন্য নয় সর্বজনীন, সবাইকে সাহিত্যের দিকে আহ্বানের এবং সুখের সমাহারে সকলকে একত্রিত করায় আমার মূল উদ্দেশ্য, আমি প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের অনুভূতিকে নিজের ভিতর ধারণ করে প্রস্ফুটিত করি প্রতিটি লেখাই আমার কলমের মাধ্যমে, সকল কিছু থেমে গেলেও আমার লেখার কলম চলে অবিরত, লেখক মানেই নতুন সৃষ্টির উদ্ভাবক, সৃজনশীলের অপর নাম লেখক, লেখালেখি করতে ঈশ্বরের বরদান প্রয়োজন, একটা বয়সে সকলে একটু হলেও লেখালেখি করতে পছন্দ করে কিন্তু সময়ের স্রোতে অনেকে ঝরে যায় অচিরেই কিন্তু যারা প্রকৃত লেখক তারা টিকে থাকে বিশ্ব মানবতার জয়ের জন্য তাদের সৃষ্টি থাকে অব্যাহত, তারা সমাজ দেশ, বিশ্ব, বিশ্বের সকল কিছু নিয়েই ভাবনার নতুনত্বের স্বাদ গ্রহণের জন্য নিজের লেখা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করেন, লেখক এক উচ্চ সম্মানের স্তর যারা লেখকদের কে অবজ্ঞা করে অবহেলা করে তারা হতভাগা তারা জানে না লেখকরা আছে বিধায় তারা সুন্দর সুশৃংখল এবং সভ্য সমাজে নিজেকে স্টাবলিস্ট করতে পেরেছে, লেখকরা আছে বলেই তারা প্রকৃত স্বাধীনতা কি সেই স্বাদ গ্রহণ করতে পেরেছে, ঈশ্বরের কৃপায় নতুন সৃষ্টিতে লেখকরা সেরা, লেখকরা চাই প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক নিজেকে চিনতে শিখুক, প্রতিটা মানুষের ভিতরে রয়েছে ‘নিজই নিজের’ সেটাকে বুঝতে শিখুক, লেখকরা সব সময় অন্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছে, যুগে যুগে লেখক পৃথিবীতে নিজেকে যেভাবে বিলিয়ে দেয় এভাবে আর নিজেকে কেউ বিলাতে পারে না  কবি’রা মহৎ, কবিরা জ্ঞানী, কবিরা মমতাময়ী, কবিরা সৎ, কবিরা গভীর ভাবনায় বিভোর, কবিরা পরোপকারী, কবিরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে সবসময় অন্যের জন্য, পথ দেখায় সঠিক যে পথে হাঁটলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, কবি’রা সবসময় সভ্যতার দিকে অগ্রসরমান, সাহিত্য রস মনুষ্যত্বকে পরিচ্ছন্ন রাখে, ভালো বাসতে শেখায়, প্রেম জাগ্রত করে হৃদয়ের গহীন সীমানায়, কবিদের যে দরদ সেই দরদ মানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতে তারা সারাক্ষণ পরিশ্রম করে যাই, নিজের কবিতার মাঝে নিজের ভাবনাকে স্থাপন করে প্রতিটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অনেক কষ্ট সহ্য করে তারা, মানুষের কল্যাণ নিয়ে তাদের পথচলা সর্বক্ষণিক, কবিরা সারাক্ষণ অন্যের কথা ভাবতে ভাবতে নিজের বয়স সীমা পর্যন্ত ভুলে যাই, অনেক কবি’রা ভুলে যায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথাও, ভুলে যায় দুঃখ কষ্টের কথা অন্যের সুখে নিজেকে সুখী করে অন্যের দুঃখে নিজেকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দেয়, নিঃস্বার্থ ভালোবাসতে শুধু কবিরাই শেষ্ঠ, তারা প্রেম করে না প্রেমের সৃষ্টি করে যে প্রেমে মানুষ সুখী হওয়ার স্বপ্ন দেখে, কবি’রা সেই সুখ বাস্তবায়নের জন্যই নিজের কলমের মাধ্যমে প্রেমের ব্যাখ্যা দেয়, প্রেমের সৃষ্টি সম্পর্কে জানানোর জন্য কবিতার সৃষ্টি করে আর সেই কবিতা মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে স্পর্শ করে যেখান থেকে প্রেমের সৃষ্টি মমতার সৃষ্টি এবং বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জায়গায়, কবি’র কবিতায় মানুষের মনের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, ফুটে ওঠে শত মানুষের স্বপ্নের বাস্তবিকতা, কবিতার মাঝে খুঁজে পেতে চাই সকল পাঠক নিজেকে, কবিতা লেখা কবি’র নেশা, সকল নেশা মানুষের জন্য ক্ষতি হলেও কবি’র কবিতা লেখার নেশা মানব কল্যাণে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায়। 

সাথে পাঠকদের উজ্জীবিত করে তোলে, কবি’রা নিজের লেখার মাধ্যমে নিজের চিন্তা শক্তিকে পারদর্শিকতার সাথে অন্যের চিন্তা শক্তিতে স্থাপন করতে সক্ষম, কবি’রা মানবিক মানুষ, মানব কল্যাণের পাশাপাশি সাধারণত অত্মতৃপ্তি জন্যই কবি’রা লেখালেখি করেন।

No comments

Powered by Blogger.